বুকে পাথর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন—-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে সফল জায়গায় পৌঁছে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। নেতৃত্ব একটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব পাব কি না! একজনের পর, একজন আসবেন। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব কখনও আসবে কি? তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বুকে পাথর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনায় তাঁর উন্মাদ ও পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তিনি ন্যূনতম সম্মান পাননি। তারপরেও হতাশ হননি। বাংলাদেশকে একটু ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দেশ পরিচালনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পাকিস্তান ও ভারত থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মাঝখানে দেশ পরিচালনার অবস্থা আপনারা জানেন। নেতৃত্ব কী জিনিস! নেতৃত্বের কারণে হয়নি। দেশ আগাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। সে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দফতর ও সংস্থা প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরএডিপিতে সাতটি প্রকল্প সমাপ্ত করেছে। সমাপ্ত প্রকল্পগুলো হলো জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ‘নদী দূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে ৪৮ নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য ভান্ডার তৈরি ও সমীক্ষা প্রকল্প’; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের মাদারীপুর শাখা স্থাপন; ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন, বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়ন, বিলোনিয়া স্থলবন্দর উন্নয়ন; বিআইডব্লিউটিএ’র ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন এবং মোংলা বন্দরের জন্য সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, চারটি নিজস্ব অর্থায়নে এবং একটি স্কিম প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার ৭৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি প্রকল্প। একটি স্কিম প্রকল্প-পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আরএডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা।
পায়রা বন্দরের খসড়া মাস্টারপ্লান উপস্থাপন প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের খসড়া মাস্টারপ্লান উপস্থাপন সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।