প্রধান মেনু

বিশ্ব ওজোন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। পৃথিবীর সকল জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং সর্বোপরি মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এ দিবস উদ্‌যাপন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীব বৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাণিজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড় ভূমিকা রাখে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৮৭ সালে ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত জাতিসংঘের মন্ট্রিল প্রটোকল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

১৯৮৫ সালে গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন ও ১৯৮৭ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় ওজোনস্তর সুরক্ষায় ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পৃথিবীর সকল দেশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে ওজোনস্তর ক্রমান্বয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘Ozone for life: 35 years of ozone layer protection’ বা ‘প্রাণ বাঁচাতে ওজোন: ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।

২০১৬ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীতে ওজোনস্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারি হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের (HFC) ব্যবহার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে এ শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়। একইসাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

আমি আশা করি মন্ট্রিল প্রটোকলের আলোকে সকল ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”