বিশ্ব এইডস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বৈষম্যহীন এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ উদ্ধসঢ়;যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এইডস-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ইউএন-এইডস (টঘঅওউঝ) এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৬৭ মিলিয়ন মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। এখনও এ মরণঘাতি রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
বর্তমানে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস এর সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’ (জরমযঃ ঃড় যবধষঃয )’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নিচে, এটি একটি স্বস্তির বিষয়। তবে ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এদেশে এইডস এর ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান।
তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে আমি মনে করি। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের প্রচলিত ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক অনুশাসনগুলো মেনে চলতে হবে। এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি ‘বিশ্ব এইডস দিবস- ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”