প্রধান মেনু

বিশ্বের রিনাউন্ড দেশগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে—-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়ে গেছে। আমাদের পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দর এগুলো আমাদের সক্ষমতার উদাহরণ। বিশ্বের রিনাউন্ড দেশগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা এগিয়ে যাব। মেরিটাইমকে বাদ দিয়ে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিষয়টির প্রতি জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতায় দেশ এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু টানেল আমাদের আরেকটি গর্বের বিষয়।

প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম বন্দরে সংগৃহীত সাত ধরনের ২৪টি যন্ত্রপাতি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পরে বন্দর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত ট্রেনিং সিমুলেটর ও নবনির্মিত অফিসার্স ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন করেন। সিমুলেটর ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। সিমুলেটর রিপেয়ার, মেইনটেনেন্স, ট্রেনিং ও খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহে খরচ হয়েছে এক কোটি সাতাশি লাখ টাকা। অফিসার্স ডরমেটরি ভবনটি ১০ তলা বিশিষ্ট ৩২ ইউনিটের। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী পরে বন্দর স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৬তম দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অন্ধকারে চলে গিয়েছিল। দেশ আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অন্ধকার থেকে আলোর পথে উঠে এসেছে। আমাদের আলোর পথের দিশারী হলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু অতিদরিদ্র বাংলাদেশকে হিমালয়সম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন সেই হিমালয় থেকে ৭৫ এ বাংলাদেশ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়। এখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে ধাবিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেরিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যখন এগিয়ে যাচ্ছে। মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতু, ঢাকায় তৃতীয় বিমানবন্দর টার্মিনাল, পায়রা পোর্ট, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যখন নির্মিত হচ্ছে তখন স্বার্থান্বেষীরা দেশকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা মানবাধিকারের কথা বলে উন্নয়নকে টেনে ধরতে চায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ফিলিস্তিনে পাখির মতো মানুষ মারছে সেখানে মানবাধিকারের কথা বলার লোক নাই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দর সমগ্র দেশে অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।