বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা করা হবে—-শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল): শৈত প্রবাহ, এক্সট্রিম হিট ওয়েভ, বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে শনিবারে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তা স্থায়ী নয়।
আজ ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজে ‘বঙ্গবন্ধু সুজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪’ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে বিদ্যালয়গুলোর জন্য। এখন আমাদের প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশ কিছু দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যে কোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিলো, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হতো। সেটা শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থান। একেক জেলায় একেক তাপমাত্রা। যে সমস্ত জেলায় আমাদের সন্তানরা অতিবৃষ্টির কারণে, বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারে না, অনেক কষ্ট হয়, স্কুল বন্ধ থাকে। সে সমস্ত জায়গায় শুষ্ক মৌসুমেই শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। তাদের শিখন ফল অর্জনের জন্য। কিন্ত এখন দেখা যাচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রাজধানীতে স্কুল বন্ধ রাখাই যায়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার না হলে বিপর্যয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নতুন কারিকুলামে সফট স্কিলসের মতো বিভিন্ন সৃজনশীল দক্ষতার ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, কারণ সৃজন ব্যক্তি মানেই মানবিক।
উল্লেখ্য, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, বিজয়ী ১৩৫ জন শিক্ষার্থী আজ জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে আজ ১৫ জন জাতীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছে।