প্রধান মেনু

বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনায় জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন—-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা করতে জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ণ হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক চাহিদার ধরন ভিন্ন, জোগান প্রক্রিয়াও ভিন্নতর। এসব বিবেচনায় পরিকল্পনা আবশ্যক।

প্রতিমন্ত্রী, আজ সচিবালয়ে জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রফেসর Dr. Tatsufumi Yamagata-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটির সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের অপরচুনিটি কষ্ট দেখতে হবে। ফেজ-২ না হওয়ার এ জায়গায় বিকল্প কোন্ জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলে অধিক লাভজনক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবে তা বিবেচনার সময় এসেছে। সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার কিছু প্রস্তাব এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল কারার বিষয়ে আলোচনা অনেক এগিয়েছে। অব্যাহত উন্নয়নের জন্য জ্বালানি চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দ্রুত ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনাল করা প্রয়োজন। মিডি (MIDI: Moheshkhali-Matarbari Integrated Infrastructure Development Initiative) কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।

জাইকার অভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে, যা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভালো। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড-এ মিডি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও JETRO (Japan External Trade Organization)’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট Mayumi Murayama বলেন, ঢাকার উজ্জ্বল্য দেখে আমি মোহিত। এ সময় শিল্পায়নের বৈচিত্রময়তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ, জ্বালানি হাব, মিডি এলাকার কার্বন নিঃসারণ কমানোর কৌশল ও মিডি এলাকায় শিল্পায়নের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জাইকা সদর দপ্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক Jun Saotome, জাইকা বাংলাদেশ অফিস এর প্রধান প্রতিনিধি Tomohide Ichiguchi, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক Dr. Fumihiko Seta ও মিডি নীতি উপদেষ্টা Koji Takamatsu উপস্থিত ছিলেন।