বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সময় চেয়ে আবেদনের শুনানি রোববার
এন,ডি,এন নিউজ:রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে বুধবার সময় চেয়ে আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়। বিজিএমইএর আইনজীবী ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ইমতিয়াজ মইনুল বলেন, এটি (বিজিএমইএ) একটি বড় প্রতিষ্ঠান। বিপুলসংখ্যক মালামালসহ স্টেশনারি সরিয়ে নিতে সময় প্রয়োজন। এ জন্য তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শুনানির জন্য আদালত ১২ মার্চ দিন ঠিক করেছেন। গত ৫ মার্চ বিজিএমইএর বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে করা পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে ভবনটি ভাঙা ছাড়া আর কোনো পথ থাকলো না। এ ভবনটি কত দিনের মধ্যে ভেঙে সরিয়ে নিতে পারবে, সে বিষয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে ৯ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। ওই দিন এ আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আদালত। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দায়ের করে বিজিএমইএ। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।
ওই রায়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভাঙতে হবে এই বহুতল অবৈধ ভবন। ভবন ভাঙার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ না ভাঙলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এ জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয়েছে।
বিজিএমইএর লিভ টু আপিল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবনকে অবৈধ ঘোষণা করেন।