প্রধান মেনু

বিচার বিভাগকে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করা হবে — আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিচার বিভাগের আসল উদ্দেশ্য হলো বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছে দ্রুত বিচার পৌঁছে দেওয়া। আমরা যদি তা না পারি কিংবা সুষ্ঠু বিচার করতে না পারি তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। এটি হলে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না এবং স্ট্রিট জাস্টিস প্রথা চালু হয়ে যাবে।’ আজ ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সলিসিটর অনুবিভাগে ই-ফাইলিং সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির যে বিস্তার তার সাথে আজ সলিসিটর অনুবিভাগ সংযুক্ত হলো। প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত না হলে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকতাম এবং পিছিয়ে থাকলে আমাদের যে আসল উদ্দেশ্য সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। সারা দেশের বিচার বিভাগকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। এজন্য ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং ই- জুডিসিয়ারির একটা ধাপ ‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে। এক মাসের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে তিনি ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেসমিন আরা এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা। এর আগে সচিবালয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের কাছে ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ডে’-এর ঘোষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১০০ শতাংশ সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি ও জিপি) নিয়োগ করা হয় রাজনৈতিক কোটায়।

সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ আইন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের চিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ নিয়োগ করা হবে রাজনৈতিক কোটায়। তিনি আরো বলেন, ‘জিপি ও পিপিদের বেতন ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবটি সক্রিয় বিবেচনায় আছে। আশা করছি আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এ জন্য বাড়তি ২৬৭ কোটি টাকা লাগবে।