প্রধান মেনু

বিএনপি,রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ার আর নেই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
গত দুই বছর ধরে এম কে আনোয়ার নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গভীর রাতে শোকার্ত স্বজনের ঢল নামে এলিফ্যান্ট রোডে বাসভবনে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।
বর্ণাঢ্য এই রাজনীতিকের পুরো নাম মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার সংক্ষেপে তিনি এম কে আনোয়ার হিসেবেই সর্বময় পরিচিত। তিনি ১ জানুয়ারি ১৯৩৩ সালে কুমিল্লার হোমনায় জন্মগ্রহণ করেন। এককালের জাদরেল সিএসপি আমলা এম কে আনোয়ার প্রশাসনিক জীবনে অবসর নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার কুমিল্লার নির্বাচনী এলাকা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। খালেদা জিয়ার শাসনামলে তিনি দুবার মন্ত্রী হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনবার জেলও খেটেছেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকারি চাকুরে হিসেবে পেশাজীবন শুরু হয় এম কে আনোয়ারের। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তার ৩৪ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি ফরিদপুর ও ঢাকার ডেপুটি কমিশনার, জুটমিল কর্পোরেশনের সভাপতি, টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ বিমানের সভাপতি এবং প্রশাসনে বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন তিনি। ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি প্রশাসনে বিভিন্ন উচ্চপদে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিএসপি কর্মকর্তা এম কে আনোয়ার ১৯৭১ সালে ঢাকা জেলার প্রশাসক ছিলেন।