প্রধান মেনু

বিএনপি’কে জঙ্গিনির্ভর সন্ত্রাস-আশ্রয়ী রাজনীতি পরিহার করার পরামর্শ তথ্যমন্ত্রীর

বিএনপি’র ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাদেরকে জঙ্গি আশ্রয়ী রাজনীতি পরিহার করে জনমুখিতার পরামর্শ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ বলেছেন, ‘বিরোধীদল হিসেবে গত সাড়ে দশ বছরে বিএনপি যেভাবে জঙ্গিনির্ভর ও সন্ত্রাস আশ্রয়ী রাজনীতি করেছে, সেটি দেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। গণমানুষের জন্য যারা রাজনীতি করে, কোনোভাবেই তাদের এ ধরনের বিধ্বংসী পথের আশ্রয় নেয়া উচিত নয়। আমি বলবো, বিএনপি যাতে ভবিষ্যতে জঙ্গিনির্ভর ও সন্ত্রাস আশ্রয়ী এবং দোষারোপ করার অপরাজনীতি পরিহার করে মানুষের কাছাকাছি যেতে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসে।’ আজ সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপিকে অভিনন্দন।

তবে বিএনপির জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে। জিয়াউর রহমান অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অন্যদল থেকে দলছুট হয়ে উচ্ছিষ্ট গ্রহণকারী অধিকাংশ নেতাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন। এরই নাম বিএনপি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার নেতৃত্বেও বিএনপি দেশকে সুশাসন দিতে পারেনি। দুর্নীতি-দুঃশাসনই শুধু নয়, বিএনপির দশ বছরে দেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে সেখানে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করা হচ্ছিল। তাদের নেতৃত্বে দেশ লজ্জাকরভাবে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অগ্রগতির চাকা একই জায়গায় ঘুরপাক খেয়ে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণায়মান চাকায়।’

বিএনপি’কে পেছনে ফিরে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র আমলে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসভায় হামলা চালিয়ে সংসদ সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া ও আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতিও দিত না। ২১ আগস্ট সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল মধ্যরাতে। যাতে আমরা মঞ্চ বানাতে না পারি। সে কারণে আমরা ট্রাকের ওপর সমাবেশ করেছিলাম। তারা আমাদের প্রার্থিত মুক্তমঞ্চে না দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এমন জায়গায় আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল যাতে ভবন থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া যায়।’ বাংলাদেশে আইএস নেই বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহামুদ।

সাম্প্রতিক ককটেল বিস্ফোরণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস নেই। গাড়ির চাকা বিকল হলেও বলে আইএস করেছে। আবার ককটেল বিস্ফোরণ হলেও বলে আইএস করেছে। কারা যে এগুলো ছড়ায় আমরা জানি না।’ গাড়িচাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রাণী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পথচারী কৃষ্ণা রাণীর ওপর গাড়ি তুলে দেওয়া অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি গাড়ির মালিক ও চালকদের সমিতিকে বলবো, প্রশিক্ষিত চালক ছাড়া যাতে কোনো হেলপার গাড়ি না চালান, তা নিশ্চিত করতে। যারা এই দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিচার হোক, সেটি আমি চাই।