বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ প্রতিনিধির বৈঠক
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ পরিকল্পিত ও সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এমডিজি সফলভাবে অর্জন করে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ঘোষিত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে এসডিজি-র ৮২ ভাগ বাস্তবায়িত হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। বাংলাদেশ পদ্মা সেতুসহ অনেক মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে যোগাযোগ সহজ করতে রাস্তাগুলো ফোর লেনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। দেশে এখন ফরেন ইনভেস্টমেন্টের (এফডিই) পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের পর দেশে আর গ্যাস সমস্যা থাকবে না, বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত আছে। অনেক দেশ এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসছে। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করছে বিশ^বাসী। দেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং ইউএনডিপি-এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস (জড়নবৎঃ উ. ডধঃশরহং)-এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে সঠিক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী সাধারণ নির্বাচন দেশের সংবিধান মোতাবেক অনিুষ্ঠিত হবে। বিশে^র গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও চলমান সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন নির্বাচনকালীন সরকার থাকে এবং নিয়ম মোতাবেক কার্য সম্পাদন করে। নির্বাচন নিয়ে বার্গেনিং বা আলোচনার আর কোন সুযোগ নেই, বিএনপি’র উচিত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ^বাসী বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় বদ্ধপরিকর। দেশের মানুষ সচেতন হয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় হবে না।
জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। অন্যদেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন অনুসরণ করতে পারে। বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করেছে, এসডিজি অর্জনেও সফল হবে। জাতিসংঘ চায় বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাক। এ জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জাতিসংঘ তা প্রত্যাশা করে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।