বাক-প্রতিবন্ধী শিশুরা কলমের জবাবে বললেন
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী ঝাড়গাঁও, ভেলাজানে অবস্থিত একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
শনিবার সকাল ১১ টায় ২৫ মার্চ কালরাত্রি একাত্তরের গণহত্যায় নিহতদের স্মরনে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান ০৯ নং রাইয়পুর ইউপি, সভাপতি একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ও পরিচালক আমিরুল ইসলাম একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, শিক্ষক করিুমুল হক, শিল্পী নেহার বানু, বিলকিস নাহার, ধনেশ চন্দ্র, সৃষ্টি রাণী, বাবু প্রমুখ ও স্কুলটির বিভিন্ন শিক্ষক মন্ডলিসহ সাংবাদিক বৃন্দ।
পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক ভয়াবহ রক্তাক্ত ইতিহাসের দিন। সেই কালরাতে পাকিস্থানি সেনাবাহিনী কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে পাশবিক হিং¯্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঘুমন্ত বাঙালির উপর। এ দিবসটিকে আমরা গণহত্যা দিবস হিসেবে উদযাপন করেছি।
সরকার যদি আমার এই স্কুলের শিশুদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেয় তাহলে এই অসহায় প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক ভাল হত। যেমন- টাকার অভাবে স্কুলের সকল বাচ্চাদের ঠাকুরগাঁও শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে নিয়ে এসে স্কুলে পড়া শেষ করে আবার সেখানেই দিয়ে আসতে হয়। আমার বর্তমানে দুটি গাড়ি রয়েছে তাও আবার একটি চলছে অন্যটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অদ্য স্কুলের বাক প্রতিবন্ধী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিনা আক্তার ও মাসুদা আক্তার কথা বলতে পারে না তাই কলমের জবাবে তারা বলেন, আমাদের স্কুলের আমিরুল স্যার আমাদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা না থাকার কারনে আমাদের নিয়মিত স্কুল যাওয়া অনেক সমস্যা হয়। তাই আমাদের যদি যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা থাকত তাহলে আমরা নিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারতাম।
(আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও)