প্রধান মেনু

বাউফলে জম্ম নিবন্ধন সনদ পেতে নানা হয়রানি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে জম্ম নিবন্ধন সনদ পেতে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাত নিয়ে ইতোমধ্যে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকার ফি কমানো হলেও নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে জম্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৪৫ দিন অতিবাহিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন হয়। এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আদালতের এফিডেভিট। সচেতনতার অভাবে অনেকেই নির্ধারিত সময়ে শিশুর জম্ম নিবন্ধন করেন না। বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার শিশুর বয়স ১৪ মাস। তার জম্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যাই।

ইউপি সচিব আমাকে আদালত থেকে এফিডেভিট করে নিয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু যাতায়াতসহ এফিডেভিট করতে অন্তত ২ হাজার টাকা খরচ হবে। সেই টাকা জোগাড় করে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার সামর্থ আমার নেই। তাছারা ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধনের কাজে দায়িত্বে যারা আছেন তাদের খামখেয়ালী তো আছেই। সরকার কতৃক ফি ছাড়াও তাদের বেলায় গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা না দিলে তাদের ওয়েবসাইডে সমস্যা দেখিয়ে মাসের পর মাস ঘুড়তে হয় তাদের কাছে। কাছিপাড়া ইউনিয়নের মোসলেম নামের এক কৃষক বলেন, আমার সন্তানের বয়স ৪ বছর।

কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারি, জন্ম নিবন্ধন করতে হলে আমাকে ঢাকায় গিয়ে রেজিষ্টার জেনারেলের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে। আমি অশিক্ষিত গরীব মানুষ। এটা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এফিডেভিটের ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্টারের কার্যালয়ে একটি সফটওয়ারের কাজ চলমান রয়েছে। সেটি শেষ হলেই কারও ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, জম্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এফিডেভিট করা দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য। সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য এই আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন।