বাংলার লোকসংস্কৃতি আন্তর্জাতিকমানে পৌঁছেছে — মোস্তাফা জব্বার
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ তথা বাংলার লোকসংস্কৃতি জাতীয় গ-ি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকমানে পৌঁছেছে। এখানকার লোকসংস্কৃতির গৌরবময় ইতিহাস, গবেষণার বিপুল তথ্যসম্ভার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি অনুরাগীদের আকর্ষণ করে। তিনি বাংলা লোকসাহিত্যের অমর কীর্তি মৈমনসিংহ গীতিকার প্রকাশ, বিতরণ ও এর অন্তঃস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ^বাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ফোরাম নেতৃবৃন্দকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় খিলক্ষেত বাগানবাড়ীতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের প্রকল্প আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ঢাকা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভারতের বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সবুজ কলি সেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ম হামিদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ইসতিয়াক হোসেন দিদার, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী এবং দ্বীনেশ চন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী অধ্যাপক দেব কল্যান সেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলা সাহিত্যে মৈমনসিংহ গীতিকার মতো বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষের গর্ব। ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের এই অমর কীর্তি দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ১৮টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। মধ্যযুগের লোকপালা মহুয়া, মলুয়া, বীরাঙ্গনা সখিনা কিংবা দেওয়ানা মদিনাসহ অসংখ্য পালাগান নিয়ে ময়মনসিংহ গীতিকা বাংলা লোকসাহিত্যের এক অফুরন্ত ভা-ার। তিনি বাংলার লোকসাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।