বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ইসলামাবাদে ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা
বাংলাদেশ হাইকমিশন ৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার’ আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত এক দশকে দেশে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ও বিদেশি কূটনীতিবিদদের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়। ইসলামাবাদের সেরিনা হোটেলে আয়োজিত এ মেলায় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের বেশ কয়েকটি বাধাইকৃত বৃহদাকৃতির পোস্টার এবং বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ প্রদর্শনী বোর্ড স্থাপন করা হয়।
মেলার শুরুতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি শান্তিময় সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। হাইকমিশনার গত এক দশকে দেশে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে কমিয়ে আনা, সাক্ষরতার হার ৭২.৯ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়া, মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছরে উন্নীত হওয়া এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত রেখে যাবার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর আওতায় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনার কথা হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত তিউনিশার রাষ্ট্রদূত আদেল এলারবি এবং পাকিস্তানের বিশিষ্ট মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী তাহিরা আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তাহিরা আবদুল্লাহ নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ-এশিয়ার অনেক দেশকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মেলায় আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত বেশ কয়েকটি প্রামাণ্য ভিডিও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ মেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।