প্রধান মেনু

বাংলাদেশ উপহাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী

কলকাতা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) : বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতা যথাযথ মর্যাদায় আজ দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনের স্মৃতি- বিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজ (পূর্বতন ইসলামিয়া কলেজ)-এর বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে (কক্ষ নং-২৪) তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের নেতৃত্বে উপহাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া উপহাইকমিশনের সকল কর্মচারী, কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনও বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অভ বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবেদ খান। আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবেদ খান বলেন, বাঙালি জাতির পরিচয়ই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতাই নন, বাঙালি সংস্কৃতির মুখপাত্র হিসেবে ইতিহাসের বরপুত্র হয়ে বাঙালির ত্রাণকর্তা রূপে আবির্ভূত হলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয়ার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।

দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে উপহাইকমিশনের আর্ট গ্যালারিতে শিশু- কিশোরদের জন্য দু’টি গ্রুপে (গ্রুপ-১ এ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র- ছাত্রী এবং গ্রুপ-২ এ ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এর ওপর চিত্রাঙ্কন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উপহাইকমিশনের প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর প্রায় ৩০০টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও  ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবশেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিশু-কিশোরদের (ছাত্র-ছাত্রী) মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।