বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার পদক্ষেপ নিবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মায়িন্ত হাতুই (উৎ. গুরহঃ ঐঃবি)। ইতোমধ্যে তারা এর প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলেও তিনি জানান। আজ রাশিয়ার মস্কোতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা জানান।
এসময় মোহাম্মদ নাসিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে সেদেশের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সব রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে তাদের বাসস্থানসহ খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন যাবৎনিজ দেশেই স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত থেকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছে। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাই তাদের নেই সেদেশের সরকারের অবহেলার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতায় তারা বাংলাদেশে আশ্রয় এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অন্য দেশের প্রায় আট লাখ নাগরিকদের জন্য এভাবে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সম্ভব না। তাই অবিলম্বে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করার জন্য তিনি মিয়ানমারের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেডরোস এডহানম গেব্রেইসাস (ঞবফৎড়ং অফযধসড়স এযবনৎবুংঁং) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জনগুলো তুলে ধরে এক্ষেত্রে সহায়তা করায় সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কেও অবহিত করে সংস্থার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্য যেমন বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়, তেমনি মানসিক বৈকল্য ও অটিজম বিষয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। রাশিয়ার মস্কোতে চলমান ‘টেকসই উন্নয়নের যুগে টিবি নির্মূলে করণীয়’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। গত ১৬ নভেম্বর সম্মেলন শুরু হয়। একশ্#৩৯;রও বেশি দেশের মন্ত্রী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।