বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা — তথ্যমন্ত্রী
বাজেট নিয়ে ‘অযথা সমালোচনা’ করায় বিএনপি ও সিপিডি’র তীব্র সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে রেড ক্রিসেন্ট আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সমগ্র বিশ্ব প্রশংসা করে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে শুধু আক্ষেপ করেন, অথচ প্রশংসা করতে পারে না একটি পক্ষ। গত ১০ বছরে বাজেট দেওয়ার পর কি কি ত্রুটি সেগুলোই শুধু সিপিডির চোখে পড়ে। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখি, গত ১০ বছর ধরে ভুল বাজেট দেওয়ার কারণেই কী দারিদ্রতা ২০ শতাংশে নেমে আসার মতো যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন হয়েছে? গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২০০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাজেটে ভুল থাকলে মাথাপিছু আয় তিনগুণ কী করে হলো? কীভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হলো? মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল।
২০০৯ সালে লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি। আমরা তখন ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজকে দেশে লোকসংখ্যা ১৭ কোটি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এগুলো কী সরকারের অর্জন নয়?’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বাজেটের পর বিএনপি বলে, এটি গণমুখী বাজেট নয়। দরিদ্র মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। অথচ বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, বাজেটে শিক্ষাখাতে প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে ১২ শতাংশর মতো বরাদ্দ। সামাজিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই আমরা। এজন্য সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গিয়েছিলেন। এরপর টানা ৫ বছর বিএনপির দেশ পরিচালনার পর খাদ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ টনে। তাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা লোকসংখ্যা কমেনি এবং বাংলাদেশ ঋণনির্ভর হয়ে পড়ে।
বর্তমানে আমাদের বাজেট সামান্য ঋণনির্ভর। বাকিটা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমরা সংগ্রহ করছি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আলোচনা করেন সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার প্রমুখ।