বন্যা প্লাবিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে হবে — দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা প্লাবিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসকদের ভিজিট করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করতে হবে ও ওরস্যালাইন মজুদ রাখতে হবে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি ও অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আজ জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা, মেহজাবিন খালেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাই সরকারের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার কাজ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অনেক সদস্যই সভায় উপস্থিত না থাকায় মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ অনুপস্থিতিকে মন্ত্রী দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী আদেশাবলী অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রতিবেদনসহ স্ব স্ব মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য মন্ত্রী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। বন্যা মোকাবিলায় যে কোন কর্মকর্তার অবহেলা বা অনিয়ম কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
জামালপুর জেলায় ত্রাণ বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ৩২৫ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আজকের সভায় নতুন করে আরো ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারের ত্রাণ সামগ্রীর অভাব নেই বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন। সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে বন্যা প্লাবিত সকল মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেন।
মন্ত্রী পরে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা, মেহজাবিন খালেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।