বছরের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষার্থীরা নতুন বই থেকে বঞ্চিত
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ধরঞ্জী ইউনিয়নের হাজীপুর তেঁতুলতলী বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চারমাস ধরনা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বই না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। শেষে বিভিন্ন জায়গা থেকে বই সংগ্রহ করে পাঠদান চলছে। জানা যায়, বিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে স্থাপিত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ২০১৭ সালে পুনরায় চালু করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। তিনি বিদ্যালয়ে ৮৬ জন শিক্ষার্থী,৪ জন শিক্ষক, ৪টি কক্ষ, টিউবয়েল ও টয়লেট আছে মর্মে সন্তোষ জনক প্রতিবেদন দাখিল করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইয়ের চাহিদা নেয়ার পরও বই না দিয়ে চার মাস ধরে হয়রানি করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একই সময়ে গড়ে ওঠা পার্শ¦বর্তী রায়পুর বে-সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ দানের অনুমতি না থাকার পরও চাহিদা মাফিক বই দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান মিঞা বলেন, পাঠদানের অনুমতি না থাকায় হাজীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই দেওয়া হয়নি। এদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকার পরও রায়পুর বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। হাজীপুর তেঁতুলতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাওয়ার্দী শাহ বলেন,পাঠ্য বইয়ের আবেদন নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বিষয়টি দেখার জন্য সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবিরের কাছে পাঠায়। এসময় তিনি আমার কাছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি পুলিশ ডেকে ধরে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জবানবন্দি নেন ও ভিডিও ধারণ করেন।এছাড়া তিনি অফিসে আসতে নিষেধ করেন এবং বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার মুচলেকা নেন। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবির বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলি সঠিক নয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন।