প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অত্যন্ত শান্তিকামী নেতা– পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রাসেল্স, (৩০ মার্চ) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত শান্তিকামী একজন নেতা এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সর্বদা শান্তিপূর্ণ পন্থায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজও বিশ্বব্যাপী প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিবছর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করে, যা সকল সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত হয়।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদপ্রতিম নেতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্-এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডিসি-র শীর্ষস্থানীয় থিংক ট্যাংক হাডসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক রাষ্ট্রদূত হাক্কানী বক্তৃতা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আশা করা হয়েছিল যে, পাকিস্তান একাত্তরে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর চালানো জঘন্যতম গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে। তিনি বলেন, যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন তবে দু:খজনকভাবে তিনি ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি নরনারীর ওপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাননি। ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় হাডসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো রাষ্ট্রদূত হাক্কানী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিশ্বজুড়ে ২০ শতকের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন প্রবাদপ্রতিম নেতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান মহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান নেতাদের কাতারে।

রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ বলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় বছর, কারণ এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হচ্ছে।