প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্তে রঞ্জিত খুনি জিয়া ও তার পরিবারের হাত—-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমানের হাত। এর ৩০ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জাতির পিতার পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, নিহত ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ আরো কয়েকশ’ দলীয় নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত হয় খুনি জিয়ার স্ত্রী ও তার পুত্রের হাত। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাই বলতে হয়, বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্তে রঞ্জিত খুনি জিয়া ও তার পরিবারের হাত।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা উপলক্ষ্যে একাডেমি আয়োজিত ‘২১ আগস্ট একটি বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী (২১-২৩ আগস্ট) আলোকচিত্র ও পাবলিক আর্ট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন গ্রেনেড হামলা নাকি সাজানো নাটক। প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, তাহলে যে ২৪ জন গ্রেনেড হামলায় মারা গেলো, তারা কারা? কে এম খালিদ বলেন, একজন মানুষ কতটা নির্মম, নিষ্ঠুর, ইতর হলে এমন কথা বলতে পারে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জা ফখরুলের বাবা ছিল কুখ্যাত রাজাকার ও উত্তরবঙ্গের পিস কমিটির সভাপতি। তার মুখেই এমন জঘন্য মিথ্যাচার মানায়।

কে এম খালিদ বলেন, আগামীতে দেশের ৬৪ জেলায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালককে অনুরোধ জানাই। তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় এটিকে চিত্রায়িত করলে তরুণ প্রজন্ম এটিকে গ্রহণ করবে ও ২১ আগস্টের ঘৃণ্য হামলা সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২১ আগস্টের ভয়াল হামলা সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী মীর ফরিদ এবং শিল্পী ও কিউরেটর অভিজিৎ চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।