বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবাসতেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে—-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট): স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটি জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবেসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৫ই আগস্টের ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলার বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি। তবে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ রাশেদুল হাসান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নতি দেখে পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন উচ্চতায় নিয়েছেন যে পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ এর তথ্য দ্বারাও এই ধারণা প্রমাণিত।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মহিমায় বিশ্বের যে কোন মহান নেতার কাতারে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল। আমরা গর্বিত এরকম একজন মহান নেতাকে আমরা পেয়েছিলাম যিনি আমাদের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনিই আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ভালোভাবে উন্নত জীবন গড়ার এবং মুক্তভাবে প্রাণখুলে বেঁচে থাকার স্বাদ নিতে। তাজুল ইসলাম বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেখানে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছিলেন। দেশকে তিনি যখন ধীরে ধীরে সঠিক পথে পরিচালনা করা শুরু করেছিলেন তখনই চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশের মানুষের জীবন উন্নত হত।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের মাত্র এক বছরের মাথায় আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন তা আজও অনুসরণীয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে ২১ আগষ্টের মতো নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের পরও বিএনপি সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট এর সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।