প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মৃত্যু নেই—-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ): সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ঘাতকেরা জানতো না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়, তাঁকে নির্বংশ করার চেষ্টা করা যায় কিন্তু তাঁর আদর্শের মৃত্যু নেই।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে ১৭ মার্চ ২০২৪ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষিতের গণতন্ত্রের কথা বলেছেন এবং সেই সময়কালে তিনি যে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, তিনি যে শোষিতের গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন, সারা বিশ্ব যেভাবে তাতে সাড়া দিচ্ছিল, তাতে পৃথিবীর সব ঔপনিবেশিক মোড়লেরা  ভীত ছিল, সন্তস্ত্র ছিল।  বঙ্গবন্ধু সফল হলে, সারা বিশ্বে আর কোথাও আর কোনো মানুষকে নির্যাতন, নিপীড়ন দমন করে রাখা যাবে না। সকল বঞ্চিত শেষিত মানুষ জেগে উঠবে, আর সে কারণেই একজন শেখ মুজিবকে হত্যা করা তাদের খুব জরুরি ছিলো। সেই হত্যায়  একাত্তরের পরাজিত শক্তিই নয়,  সেখানে অনেক বিশ্ব শক্তিরও ইন্ধন, সমর্থন ও ষড়যন্ত্র ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবার আমাদেরকে সেই পাকিস্তানি অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা ছিলো। কিন্তু হত্যাকারীরা ভুলে গিয়েছিলো যে, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়, তাকে নির্বংশ করার চেষ্টা করা যায়, কিন্তু  তারঁ আদর্শের মৃত্যু নেই।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা বঙ্গবন্ধুর চেতনায় যদি উদ্বুদ্ধ করতে পারি তাহলে সম্ভব সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং সেই সোনার বাংলা আমদেরকে নিশ্চয়ই গড়ে তুলতে হবে। কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার। আর তার জন্য আমদের নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বইগুলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন, আরও অনেক লেখা তো রয়ে গেছে যেগুলো তাঁর কন্যার অনেক শ্রমের ফলে আমাদের হাতে বই হিসেবে পাচ্ছি, আগামীতেও পাবো, সেগুলো পড়তে হবে।

এর আগে মন্ত্রী জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।