বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল—-বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট): বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী-সহ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এই ভঙ্গুর আওয়ামী লীগকে পুনরায় সুসংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নিবাচিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সংগঠিত ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত খুনি চক্র নিত্য-নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রোধ করতে চায়। এই খুনি চক্র এখনো সোচ্চার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আদর্শকে প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করলেই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় বীরপ্রতীক গাজী অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে রূপগঞ্জ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
