প্রধান মেনু

বগুড়ার চরাঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি: লাল মরিচের বাম্পার ফলন

মুনজুর কাজী (বগুড়া প্রতিনিধি)  চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনূকুলে থাকার কারণে মরিচের ফলন হয়েছে ভাল । ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলে মিলে লাল টুকটুকে পাকা মরিচ গাছ থেকে তোলা ও তা শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনরাত মরিচ নিয়ে কাজ করার কারনে, চরে চরে দেখা দিয়েছে লাল শুকনো মরিচ চাষিদের মুখে হাসি। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় মরিচ চাষীদের সূত্রে জানা গেছে- বগুড়া জেলায় এবার মরিচ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬’শ হেক্টের জমিতে ।
পশ্চিম বগুড়ায় সামান্য পরিমান জমিতে চাষ হলেও পূর্ব বগুড়ার গাবতলী, ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার বাঙ্গালী এবং যমুনা নদীর উর্বর চরের জমিতে ব্যাপক হারে মরিচের চাষ করা হয়েছে। তবে একমাত্র সারিয়াকান্দি উপজেলায় চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভাল এরই মধ্যে জমি থেকে লাল টুকটুকে পাকা (টোবা) মরিচ তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সোনাতলার পূর্ব সুজাইতপুর, আচারেরপাড়া, চারালকান্দি, সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর, চরদিঘাপাড়া, নয়াপাড়া, করমজাপাড়া, টেংরাকুরা, কাজলা, নান্দীনারচর, ইন্দুরমারাচর, ডাকাতমারা, ধারাবর্ষা ও শংকরপুরচরে।
জেলায় চাষ করা ওই পরিমান জমি থেকে প্রায় ১৫ হাজার ২’শ মেট্টিক টন শুকনো মরিচ উৎপাদন হওয়ার আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। সারিয়াকান্দির ময়ূরের চরের মরিচ চাষী, মোকলেছুর রহমান, বাটির চরের শাহীন মিয়া বলেন, প্রতি বিঘায় মরিচ চাষে খরচ হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। পাওয়া যায় ৬ থেকে ৭ মন শুকনো মরিচ। চলতি মৌসুমে কাচা মরিচের আমরা দাম ভাল পায়নি। তবে শুকানোর পর প্রতি মন মরিচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। খরচ বাদে আমাদের ভাল লাভ থাকছে। এদামে বিক্রি করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে আমাদের। উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্বাদে অনন্য হওয়ায় বগুড়ার মরিচের খ্যাতি দেশ জুড়ে। তাই নামি-দামী মসলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর নজর এমরিচের দিকে। যার জন্য চাহিদা অনেক দামও পেয়ে থাকেন ভাল। আমরা চাষিদেরকে লাভবান করে তুলতে মরিচ চাষের উপর প্রশিক্ষণ ছাড়াও মাঠে গিয়ে ফসলের সমস্যার উপর সার্বক্ষনিক কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ ও সার্বিকভাবে সহযোগীতা দিয়ে আসছেন।