প্রধান মেনু

বউ পিটিয়ে কারাগারে গেল হিরো আলম

মুনজুর কাজী (বগুড়া): বউ পেটানোর মামলায় গ্রেফতার হওয়া আলোচিত হিরো আলমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাইফুল ইসলামের মেয়ে সুমি বেগমকে ১১ বছর আগে বগুড়া সদরের এরুলিয়া পলিবাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পালিত ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সাথে বিয়ে দেন। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঘর সংসারকালে হিরো আলম তার স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। মেয়ের সংসারে সুখের কথা বিবেচনা করে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর হিরো আলমকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। আরও এক লাখ টাকার জন্য হিরো আলম তার স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতন করে আসছিল।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হিরো আলম বাকি আরও এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সুমি বেগমকে বেদম মারপিট করেন। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (৬ মার্চ) রাতে বগুড়া সদর থানায় হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘থানার রেকর্ডে দেখা যায় হিরো আলমের নামে ২০১২ সালে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের
হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিরো আলম ২০১২ সালে তার স্ত্রীর ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তার শ্বশুর হিরো আলমের নামে থানায় অপহরণ মামলা করে। পরে স্থানীয়ভাবে মামলাটি আপোষ মিমাংসা করা হয়। তবে হিরো আলম তার শ্যালিকাকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার শ্বশুর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছিল। এবারও আমার ডিস সংযোগ ব্যবসা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার বউকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন।’

বউ পেটানোর বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘পরকীয়া করার অপরাধে বউকে চড় থাপ্পর মেরে শাসন করেছি। এ কারণে আমার শ্বশুর তার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার পাইনি। বরং মিমাংসার কথা বলে থানায় ডেকে এনে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।’