ফলাফল বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে — কৃষিমন্ত্রী
‘প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মঙ্গল, টেকসই প্রভাব, প্রত্যাশা ও ফলাফল বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি কৃষি প্রকল্প একটি চিন্তা অনেক স্বপ্ন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে।’ আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মাসিক এডিপি সভায় এসব কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়া প্রকল্প গ্রহণের ফলে কী কীপরিবর্তন এসেছে তার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে হবে। যে কারণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা কতটুকু পূরণ হয়েছে এবং আরো কী কী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তা উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮ শত ১২৬ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ১ হাজার ৩ শ’ ৫৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩৩টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ১ হাজার ৪শ’ ৫০ দশমিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, এপ্রিল-২০১৯ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯শ’ ৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকা।
এপ্রিল-২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪শ’ কেজি কাজুবাদামের বীজ আমদানির জন্য ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে ভালো বীজ সংগ্রহের কথা বলেন মন্ত্রী। সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোনো প্রকল্প যাতে গ্রহণ করা না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেন তিনি। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান সভার সঞ্চালনা করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।