প্রধান মেনু

ফরিদপুর শিশু হাসপাতালের পাশে ড্রেনের আবর্জনায় ময়লার ভাগাঢ়

ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের লাগোয়া ড্রেন উপচে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে ভাগাঢ়ে পরিণত হয়েছে। তিব্র দূর্গন্ধ ও রোগ-জীবানু ছড়াচ্ছে সাথে জন্মাচ্ছে বড় বড় মশা। কোমলমতি শিশুরা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু হাসপাতালের ৬ তলা ভবননের সম্প্রসারণের কাজের পানি ও মালামাল পড়ছে পাশের রাস্তায়। হাসপাতালের অনেক রোগীরা খাবার ও নানা বর্জ ফেলছে সেখানে।

এতে আশেপাশের বাসাবাড়িতে বসবাস করাই দায় হয়ে পরেছে। সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও সমস্যার কোন প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো চার বছরের শিশু শোয়াইবকে। বাড়ির সামনে ময়লা আবর্জনার ভাগাঢ়ে বাড়ির উঠানেও বের হতে পারে না সে। বড় বড় মশার কামড়ে শরীর ফুলে গেছে। চুলকাতে চুলকাতে সেখানে ঘা হবার উপক্রম। একই দশা তার ছোট ভাই দেড় বছর বয়সী সায়াদেরও। তাদের খেলাধুলার পরিবেশটুকুই নয়; বসবাসের পরিবেশটুকুও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

 সাদ ও শোয়ায়েবের মা সুমাইয়া বেগম জানান, ড্রেনের ময়লা আবর্জনার কারণে তাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। শিশুরা এই পরিবেশে একটু প্রাণ খুলে নিঃশ্বাসও নিতে পারে না। ড্রেনের ময়লা থেকে বড় বড় মশা জন্ম নিচ্ছে। দিনের বেলায়ও মশারী টাঙিয়ে শুতে হয়। বাড়ির সামনে একটু খোলামেলা জায়গায় ছেলেরা খেলাধুলাও করতে পারে না দুর্গন্ধ ও মশার কারণে। মিতি নামে রাজেন্দ্র কলেজের অনার্সের এক শিক্ষার্থী জানান, সকালে কলেজে যাওয়ার সময় হাসপাতালের নির্মাণ কাজের পানিতে ভিজেপুরে যায় সে।

ড্রেনের পাশাপাশি শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজের ফলে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। দেখা গেলো, হাসপাতালের ৫ তলা ভবন নির্মাণ কাজে কোন প্রটেকশান না দেয়ায় বৃষ্টির মতো সেখান থেকে পানি ঝরছে চলাচলের রাস্তা জুড়ে। মিতি বললো, পানি মাড়িয়ে দুর্গন্ধের ভেতর দিয়ে প্রতিদিন কলেজে যেতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই জামা কাপড় ভিজে যায়।

 বাড়ির সামনে শিশু হাসপাতালের পেছনে ড্রেনের আবর্জনার ভাগাড়ে অতিষ্ট আজিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, শিশুদের ঢাকায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে দেখানো হয়েছিলো বড় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার সাহেব অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানালেন, বাড়ির পাশে কোন ময়লা ড্রেন আছে কিনা? তাহলে সেই ড্রেন পরিস্কার রাখতে হবে। নইলে ওষুধ খেয়ে কাজ হবে না।

 

সুমন ফরিদপুর প্রতিনিধি