প্রধান মেনু

ফরিদপুর শহরের মূল সড়কে বালুমাটি ভর্তি ট্রাকের অবাধ চলাচলে ফরিদপুরবাসী অসহায় ।

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর শহরতলী সিএমবি ঘাট থেকে শুরু করে শহরের বাইরে বিভিন্ন স্পটে এক শ্রেনীর বালুমাটি ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ফসলী জমি খনন করে বিভিন্ন জায়গা, খাল ও গর্ত ভরাট করছে এবং ইট ভাটায় অবাধে মাটি বিক্রি করছে। এসকল মাটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রামট্রাক , কৃষিকাজে ব্যবহৃত চাষাবাদের ট্রাক্টর। মাটি বোঝাই এই ড্রাম ট্রাকের দাপটে এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে শহর ও শহরতলীর বিভিন ছোটবড় বাস্তার পাশের এলাকাবাসী।

সামনে বর্ষার মৌসুম আসলে রাস্তার মাটি জমে শক্ত হয়ে মিশে যে হাল হয়েছে সেটা বৃষ্টির পানি পেলে পিচ্ছিল হয়ে বড় ধরনের সড়কদূর্ঘটনার ঘটবে বলে সচেতনমহলের আশঙ্কা। মাটি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া এসব ওভারলোড পরিবহনগুলো ইচ্ছেখুশি চলাচলে পাকা সড়কে ও গ্রামীণ সড়কগুলো পরিণত হয়েছে ধূলার স্তুপে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। অতিরিক্ত ধুলার কারণে মানুষের ডায়রিয়া, শ্বাস কষ্ট,এলার্জি, এবং ফুসফুসজনিত জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর প্রভাবশালীমহল এসব মাটি সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরতলীর সিএমবি ঘাট থেকে এই ধুলোবালির উৎপত্তি শুরু।

পদ্মা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালুমাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করায় সেই মাটি সরবরাহে হাজার হাজার পরিবহন মাটি বহনে অবাধে চলাচল করায় প্রতিনিয়তই ধুলাবালিতে রাস্তায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ সকল পথচারিদের। বর্তমান শহরের ব্যাস্থতম প্রধান জায়গায় জেলা প্রশাসক ভবন,পৌরসভা,সদর হাসপাতাল এই রোডে ধূলোবালির জন্য চলাফেরা করাটা দূস্কর। শহরবাসী জানায়, এই ব্যাস্থতম শহরের মানুষের নিত্য প্রয়োজনী জায়গায় নাক-মুখ চেপে চলাফেরা করতে হয়।এমন কি ধুলার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির জানালা-দরজা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। শীতের এই শুষ্ক মৌসুমে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।তাছাড়া স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছেন বেকায়দায়।

ধুলোর কারণে ওই সড়কের পাশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ ঘটছে।যার ফলে পরিবেশ অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে বলে দাবী স্থানীয়দের। স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, “বেপরোয়া গতিতে মাটিবাহী ড্রামট্রাক চলাচলের কারনে আমাদের চোখে মুখে ধূলা-বালু ঢুকে চোখ দিয়ে পানি পড়ে।ধুলোর জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়”।কয়েকজন ভ্যান চালাক বলেন, “মাটির ট্রাক চালকরা রাস্তা দখল করে নিয়েছে ।আমাদের ভয়ে ভয়ে ভ্যান চালাতে হয়,কখন ঘটে যায় দূর্ঘটনা”। এসকল ট্রাক বিভিন্ন হোটেল ও দোকানের সামনে দিয়ে চলাচল করে এতে ধূলা জমে দোকানের সব মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,বাধ্য হয়ে ধূলাবালি ভর্তি খাবার জনসাধারন কে কিনতে হচ্ছে।

অপরদিকে পদ্মানদী থেকেই অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করেই থেমে নেই মাটি ব্যবসায়ীরা তারা তিন ফসলী জমির মাটিও অবাধে কেটে নিচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় ফরিদপুর জেলা গেরদা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সকল গ্রামেই চলছে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ।ফসলী জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করেই তারা ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে ড্রামট্রাকে করে অনত্র নিচ্ছে ফলে শহরতলীর আধাপাকা সড়কগুলোর ও বেহাল দশা গ্রামবাসী অতিষ্ট। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুন্সীবাজার খেয়াঘাট ব্রিজের উপর কিছু দিন পর পর এই মাটির ট্রাক চলাচলের ফলে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে আজ সকালে এই ব্রিজে ঘটনাস্থলে মধ্যবয়সী এক মহিলাকে ট্রাক চাপাদেয় মাটি ভর্তি ওভারলোড একটি ট্রাক। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে প্রতিবাদ জানালে মাটিমহলের ক্ষমতাবানরা দ্রুত ম্যানেক করে ফেলে। রোডে কাদামাটি পড়ে থাকার কারনে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন সড়ক দূর্ঘটনা, ইতি মধ্যেও ঘটেছে রোড দূর্ঘটনা। এই দায়ভার নেবে কে ?