প্রধান মেনু

প্রবীণদের অভিজ্ঞতা সর্বত্র কাজে লাগাতে হবে — সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের সমাজব্যবস্থায় প্রবীণদের অভিজ্ঞতা সর্বত্র কাজে লাগাতে হবে। পারিবার থেকে শুরু করে দেশ পরিচালনা পর্যন্ত প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি সিনিয়র সিটিজেন ঘোষণার বাস্তবায়ন, বিকল্প আনন্দদায়ক কর্মসংস্থান, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, চিকিৎসা সেবাসহ প্রবীণদের পারিবারিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে প্রবীণদের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই টাকা থেকে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা সম্মানী প্রদান করা হচ্ছে।’ আজ রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম ও প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘উন্নত দেশ গঠনে প্রবীণ নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশে বর্তমানে এক কোটির উপরে প্রবীণ রয়েছে এবং প্রবীণ বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

গত ১০ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর। এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে এই বিরাট সংখ্যক প্রবীণদের জন্য আমাদের নতুনভাবে ভাবতে হবে। প্রবীণদের জন্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল নাগরিককে ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকার প্রবীণদের নানা ধরনের সমস্যার কথা বিবেচনায় এনে তাদেরকে সিনিয়র সিটিজেন ঘোষণা করেছে। প্রবীণদের পরিবারে মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পিতামাতার ভরণপোষণ আইন পাস করা হয়েছে। এর জন্য আলাদা নীতিমালাও করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে আমরা ভাতাভোগীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবো।’ বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রবীণ নেতৃবৃন্দ।