আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিছুল হক, এমপি আজ (রবিবার) বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থবিরোধী কোন আইন করতে পারেন না। সে সূত্র ধরে নাগরিকত্ব আইন প্রবাসীদের স্বার্থক্ষুন্ন হওয়ার কিছুই নেই‘‘।

তিঁনি বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যরকম, তিঁনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন এবং তিঁনি সাধারন জনগনের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাবার পর লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশী কাছে প্রথম এসেছিলেন। এমন কোন আইন করবো না, যা আপনাদের ক্ষতি হয়। মন্ত্রী সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি-জামাত সরকার কারও সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই একতরফা ভাবে ২০০৫ সালে নাগরিকত্ব আইন প্রনয়ণ করে। আমরা আজ সবার সাথে আলোচনা করে, এটাকে কার্যকারী রূপ দিতে যাচ্ছি।

তিঁনি আরো বলেন ‘‘দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন কোন ভাবেই প্রবাসীদের স্বার্থ খর্ব করবে না, শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্রের কিছু চাকুরীজীবি ছাড়া‘‘। বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই এই আইন প্রয়োজন। আমরা যে ভিত্তি স্থাপন করলাম, তা ভবিষ্যতে বড় কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার প্রয়োজন হবে না। এ আইন সকল বাংলাদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমঅধিকার দিচ্ছে। এ আইনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্পত্তির অধিকার কোন ভাবেই ক্ষুন্ন হবে না যুগ যুগ ধরে।

সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি বলেন, এ আইনের অপব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে সস্তা রাজনীতির জন্য। তিঁনি বলেন, এ আইনটি আমরা সবার সাথে আলোচনা করে সংসদে উপস্থাপন করবো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি দীপু মনি, এমপি বলেন, প্রবাসীদের ভোটার আইডি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন।

এছাড়া, মান্যবর হাইকমিশনার জনাব মোঃ নাজমুল কাওনাইন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি খুবই ভাল আইনকে নিয়ে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। আজ আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি, এ সকল ভ্রান্তি দুর করার জন্য। আমি এ আইনটির বিষয়ে আপনারা যে সকল আপক্তি তুলে ছিলেন, তা সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। যার ধারাবাহিকতায়, আইন মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আপনাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিবেন।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব সুলতান শরীফ ও সাধারন সম্পাদক জনাব ফারুক আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ, আইনজীবী ও স্থানীয় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিকসহ অন্যান্য অতিথিবর্গ।

পরবর্তীতে, উপস্থিত সকলে নাগরিকত্ব আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুনিদিষ্ট ধারনা প্রদানের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন, আজ হাইকমিশনের অভ্যর্থনা কক্ষে লন্ডনে সফররত আইন মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এর উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৫-এর উপর এক মতবিনিময়ের সভার আয়োজন করে।
( নাদীম কাদির )
মিনিষ্টার (প্রেস)