প্রতিকূল এলাকার কৃষির উন্নয়নে আরো বেশি সহযোগিতা দরকার—-কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট): দেশের উপকূলীয়, হাওর, চরাঞ্চল, পাহাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিকূল এলাকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-কে আরো বেশি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
আজ রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ইফাদ আয়োজিত ইফাদ-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৪৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ইফাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। ইফাদ এদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে উপকূলের কৃষির উন্নয়নে স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্পটি খুবই সফল। উপকূলের পাশাপাশি হাওর, চরাঞ্চল, পাহাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিকূল এলাকায় এ প্রকল্পের সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,সম্প্রতি আমরা ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার পার্টনার প্রকল্প নিয়েছি। এতে বিশ্বব্যাংকের সাথে ইফাদেরও অর্থায়ন রয়েছে। এই প্রকল্পটি কৃষির উন্নয়ন ও রূপান্তরে বিরাট ভূমিকা রাখবে ও এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।তিনি বলেন, অনেক উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার মধ্যে আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা রয়েছে। ইফাদ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
অনুষ্ঠানে ইফাদের এসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডোনাল ব্রাউন, কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নো হামিলিয়ার্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইফাদ বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে কাজ করছে। বিগত ৪৫ বছরে সংস্থাটি বিভিন্ন খাতে ঋণ ও অনুদান হিসাবে ২ হাজার ৬২৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।