প্রধান মেনু

প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা অর্জন করতে হবে —মোস্তাফা জব্বার

নেত্রকোণা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তিনির্ভর। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পাঠ্যবই বা গতানুগতিক সিলেবাস দিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। ইন্টারনেট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভা-ার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের সুফলকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রী পরিবর্তিত পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নেত্রকোণা’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিক উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান। মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম মানুষ যিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। জাতির পিতার হাতে দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সারাবিশ্বে অনুসরণ করার মতো দেশ তৈরি করেছেন তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’ জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (ওঞট) এর সদস্য পদ লাভ করে। স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পরেই তথ্য প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। যার সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের ওপর থেকে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ ২০২০ সালে মুজিব বর্ষ উদযাপন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জনগণের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ‘রূপকল্প-২০৪১’, ও ২১০০ সালের ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ছাত্র-শিক্ষকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে মন্ত্রী ময়মনসিংহ পৌরসভা মিলনায়তনে ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম সাহিত্য সম্মেলন বিষয়ক মতবিনিয় সভায় সভাপত্বি করেন। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।