পোষাক খাতের পরিবেশগত রূপান্তরের মাধ্যমে লাভবান হবে বাংলাদেশ—-বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) : পোষাক খাতের পরিবেশগত রূপান্তরের মাধ্যমে লাভবান হবে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।
আজ রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সুইচ টু সার্কুলার ইকোনমি ভ্যালু চেইনস্ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের চার্জ দ্য এফেয়ার্স বার্নড স্পেইনার।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে এবং বিশ্বকে রক্ষায় সব শিল্পেই সার্কুলার ইকোনমি (বৃত্তকার অর্থনীতি) জরুরি। বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এ সাসটেইন্যাবল ডেভলপমেন্টের জন্য বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। সবুজায়ন গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রেকর্ড করেছে। পোষাক খাত বাংলাদেশের জাতীয় রপ্তানি বাণিজ্য জোরদারকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের আরো ভাল করার সুযোগ রয়েছে। টেক্সটাইল বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারযোগ্য সমাধানের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্কুলারিটি মডেল এ রূপান্তরের যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, পোশাকশিল্প খাতকে সমৃদ্ধ ও প্রতিযোগিতা সক্ষম করতে, আমাদের একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব নীতি অনুসরণ করছি যা আমাদের বেসরকারি খাতকে কোনো বাধা ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। আসন্ন বছরগুলোতে আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বাজারের বৈচিত্র্যকরণ, পণ্যের বিকাশ, হাই-এন্ড ফ্যাশন পণ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, নকশা এবং প্রতিভা বিকাশ।