পুলিশের চিরুনী অভিযানে ৪ মাদকসেবী আটক- ধরা ছোঁয়ার বাইরে মূল হোতারা
নিজস্ব সংবাদদাতা নীলফামারীরঃ সৈয়দপুরের উত্তরা আবাসন এলাকায় ২৯ মে সকালে পুলিশ মাদক বিরোধী চিরুনী অভিযান পরিচালনা করেছে। ২ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে এএসপি (সার্কেল) সৈয়দপুর অশোক কুমার পাল, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশাসহ শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করে। এসময় ৪ জনকে মাদকের সাথে জড়িত হিসেবে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলো- আবাসনের বাসিন্দা মো: মুন্নার পুত্র মো: সনু (২৮), মৃত. ইসাহাকের পুত্র মো: ওয়াসিম (৩৫), মো: তসলিমের পুত্র মো: শামিম (১৯) এবং গোলাহাট রেল লাইন সংলগ্ন বদ্ধভূমি হাজীপাড়ার মো: নজরুল ইসলামের পুত্র মো: রেজাউল করিম (২৮)। আবাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, উত্তরা আবাসন হলো সৈয়দপুরের চিহ্নিত অপরাধের স্বর্গরাজ্য। এখানে এমন কোন অপরাধকর্ম নেই হয়না।
এখানে এতো বড় অভিযান পরিচালনা করা হলো অথচ মাত্র ৪ জন মাদকসেবীকে আটক করা হলো। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা রয়ে গেলো ধরা ছোয়ার বাইরে। তারা বলেন, সকালে সৈয়দপুর থানায় শতাধিক পুলিশের সমাবেশ দেখেই মাদক ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়ে যায়। তাছাড়া থানা থেকেই তাদেরকে অভিযানের ইনফরমেশন দেয়া হয়েছে। যে কারণে পুরো আবাসন ঘিরে ফেলেও মাদকের মূল হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তাছাড়া আবাসনের একটি অংশে অভিযান চালানো হলেও অপর অংশ অভিযানের বাইরে থাকায় প্রকৃত অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়নি। অনেকে বলেন, আবাসনে মূলত: মাদক বিক্রির সাথে মাত্র কয়েকজন জড়িত।
যাদের মধ্যে রয়েছে কাল্টি, নজরুল, মহির ও তার স্ত্রী, বকরী প্রমুখ। এরা অধিকাংশই চিহ্নিত মাদক সম্রাট মোনাফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাছ থেকে মাদক নিয়ে আসে। মূল ব্যবসা করে সেই সম্রাট ও মাদকের সোল এজেন্টরা। যারা বহাল তবিয়তেই রয়েছে এবং দেদারছে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা বলেন, এটা একটা বিশেষ অভিযান ছিলো। আগামীতেও চিহ্নিত মাদকস্পটগুলোতে এধরণের অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা মাদকের সাথে জড়িত।