প্রধান মেনু

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির  ৮ম বৈঠক অনুষ্ঠিত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে যথাক্রমে ৩০, ২৯ ও ২৮টি বিভাগ ও দপ্তর হস্তান্তরিত হয়েছে

ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট): তিন পার্বত্য জেলার সরকারি দপ্তরসমূহ পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কাজ সফলভাবে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে যথাক্রমে ৩০, ২৯ ও ২৮টি বিভাগ ও দপ্তর হস্তান্তরিত হয়েছে। এতে করে পার্বত্যবাসীর সরকারি সেবা কার্যক্রমে সুফল পাচ্ছে। এ কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসু করতে সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির ৮ম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ জাতীয় সংসদভবনস্থ কার্যালয়ে কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি যোগদান করেন। মাননীয় আহ্বায়ক এর বিশেষ আমন্ত্রণে বাসন্তী চাকমা এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা এবং এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির  কার্যক্রম গতিশীল ও ফলপ্রসু করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন ও পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় জানানো পার্বত্য অঞ্চলের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ২৪০টি ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে ৩০টি ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আরো জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা-২০১৯ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণয়নের লক্ষ্যে শিগগিরই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে। সভায় বিগত সভার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

বৈঠকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা, পর্যটন শিল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে সভায় ঐকমত্য পোষণ করা হয়। সভায় পার্বত্য অঞ্চলকে নিরাপদ, সুখী, উন্নত, শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শান্তিচুক্তির শর্তসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করেন।