প্রধান মেনু

পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটারদের অসন্তোষ

প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আগেরবার যিনি ১৫ লাখ পেয়েছিলেন, এবার তিনি পাচ্ছেন ৮ লাখ।‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ অর্থাৎ নির্ধারিত মূল্যে লটারির মাধ্যমে খেলোয়াড় টানার এই পদ্ধতিতে এমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন দেশের প্রায় ২০০ ক্রিকেটার। তারা ভেতরে ভেতরে ক্ষোভে ফুঁসছেন। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উন্মুক্ত পদ্ধতি অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামতো ক্লাবে খেলে গতবার টাকার অঙ্কে যা পেয়েছিলেন, সেখান থেকে এবার কমে যাচ্ছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ৫ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে প্রিমিয়ার লিগ। তার আগে ২০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে দলবদল। এরই মধ্যে ৬টি গ্রেডে ২২৭ জন ক্রিকেটারকে ভাগ করে একটি খসড়া তালিকাও ক্লাবগুলোকে দিয়েছে লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সেখানে ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘বি প্লাস’, ‘বি’ এভাবে ‘সি’ পর্যন্ত গ্রেডিং করা হয়েছে। ‘এ প্লাস’ গ্রেডিংয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ মূল্য ৩৫ লাখ ও ‘সি’ গ্রেডে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার ক্রিকেটাররা জানতে পেরেছেন তারা কে কোন গ্রেডে আছেন। গ্রেড অনুযায়ী টাকার অঙ্ক দেখে অনেকেরই মাথায় হাত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এক পেসার বলেন, ‘কথা বলতে গেলেইতো শাস্তি হয়। আমাদের অ্যাসোসিয়েশনও (কোয়াব) চুপ। কী করবো বলেন? গতবার আমি ১৫ লাখ টাকা পেয়েছি। এবার ৮ লাখ টাকা পাব।’ জাতীয় দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটাররাও রাগে ফুঁসছেন পারিশ্রমিক দেখে। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়াতে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি কেউ।

প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক সিসিডিএম’র নতুন সদস্য সচিব আলী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘দেখেন অনেক ক্রিকেটার কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দলবদল করে সব টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করে। কিন্তু প্লেয়ার বাই চয়েজ করলে তারা শতভাগ টাকা নিশ্চিত পাবে। শুরুর আগে ৫০ শতাংশ টাকা, শুরুর পর ২৫ ও শেষে ২৫ শতাংশ টাকা দলগুলোকে দিতেই হবে। আর একটা বিষয় আমাদের ক্লাবের কথাও ভাবতে হবে। কিছু বড় ক্লাব ছাড়া সবার তো এত টাকা খরচ করার ক্ষমতা নেই। আবার ক্রিকেটাররা যেন না ঠকে সেটিও আমরা খেয়াল রেখেছি।’ শোনা যাচ্ছে, ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতির পদ্ধতি ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ স্থায়ী করার চিন্তা করছে সিসিডিএম। ১৪ জানুয়ারি সিসিডিএম’র সভা শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।