পাটপণ্যের আর্ন্তজাতিক বাজার সম্প্রসারণের কাজ চলছে – বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃত্রিম মোড়কীকরণ বন্ধ হওয়ায় বিশ্বব্যাপি প্রাকৃতিক মোড়কীকরণের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপি এ চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে পাটের তৈরি পণ্যকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে চায়। এজন্য সরকার বহুমুখি পাটপণ্যের বিশ্বব্যাপি পাটজাত পণ্যের বাজার তৈরির জন্য কাজ করছে। বিগত বছরগুলোতে পাটের বিশ্বব্যাপি চাহিদা ও বাংলাদেশের সরকারি,বেসরকারি ও বহুমুখি পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা কি পরিমান পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পাটকল এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বহুমুখী পাটপণ্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী জরুরি করণীয় নির্ধারণ করবে সরকার। আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী একথা বলেন। সভায় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক বাজার সম্প্রসারণ সম্পর্কীত সমস্যা, সম্ভাবনা, এখাতের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমান সরকার পাটের উন্নয়নে বহুমুখি পাটপণ্য উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাটপণ্য অর্থনীতিকে গতিশীল করে তোলার জন্য সব ধরনের কাজ করবে সরকার। পাট শিল্পের সঙ্গে কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরাও জড়িত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশ বান্ধব পাটজাতসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পাটের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে এনেছে সরকার। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাটশিল্পে সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় এ খাতে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।
কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। এখাতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কেও সরকার অবগত এবং সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী ও উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সাফল্য লাভ করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।