পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৯৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মধ্যে ৩৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অবসর জনিত ও সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতির জটিলতার কারণে এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়ে একজন একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে দাপ্তরিক কাজ চালানো হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনি কাজসহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিঘি্নত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রায় বিদ্যালয়ের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।

এতে দুইজন শিক্ষকের ঘাটতি পড়ে যায়। আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অনেকে মানতেও চায়না। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্ন ঘটে। আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রস্তাব অনুযায়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে আসতেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নতি হওয়ায় পদোন্নতির বিষয়টি এখন মন্ত্রনালয়ের ওপর ন্যাস্ত। এতে করে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়টি দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতাসহ পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক এর পদ শূন্য থাকা ৪ শিক্ষক দিয়ে পাঠদানকারী বিদ্যালয় গুলিতে পড়ালেখা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। ঠিকমত ক্লাশ না হওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত। পাঁচবিবি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সোলাইমান মিঞা কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পাঠদান ব্যহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।