পাঁচবিবিতে নির্বাচনী দায়িত্ব বন্টনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব বন্টনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষকদের নামের তালিকা ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাচন অফিস অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো পছন্দের লোকজনকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
এতে করে একই প্রতিষ্ঠানে সমান স্কেলে বেতন প্রাপ্ত শিক্ষককে প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে আবার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারও করা হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকদের পোলিং অফিসার করা হয়েছে আবার অফিস সহকারীদেরও পোলিং অফিসার করা হয়েছে অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই কলেজের ২৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন প্রাপ্ত ১২ জন প্রভাষককে বাদ দিয়ে ২২ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ভুক্ত প্রভাষককে প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। আবার ঐ প্রতিষ্ঠানে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক থাকা সত্বেও তাদের দায়িত্ব না দিয়ে নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্বাচন অফিসের কর্তাব্যক্তিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে হ-য-ব-র-ল অবস্থার পাশাপাশি উপজেলার শতাধিক যোগ্য শিক্ষক দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনুরুপ ঘটনা ঘটে। ফলে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সহকারী শিক্ষক সৌদ হাসান শান্ত (বিএসসি অনার্স এমএসসি গণিত রা,বি) ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন,নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে কর্তাব্যক্তিদের টাকা পৌঁছানো ও কাছের মানুষ হওয়া ছাড়া আর কি কি যোগ্যতা লাগে জানতে চাই। সহকারী শিক্ষক একেএম রোকনুজ্জামান লিটিল লিখেছেন,তার বিদ্যালয়ে তিনিসহ আরো ২ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে এসএসসি পাস আর টাকাই কি যোগ্যতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক শিক্ষক জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার শাখার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বেলায়েত হোসেনকে ৫শ থেকে ১হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে অনেকে দায়িত্ব পেয়েছেন। বেলায়েত হোসেনকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কোন টাকা নেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,টাকা নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করলে তিনি মিটিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।