প্রধান মেনু

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নিম্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকলক জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত পবিত্র, তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে এ জগতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ¦ল প্রদীপরূপে।

তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন তাঁর উপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নিজ যোগ্যতা,মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সফল হন। তাঁর অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলী, সৃষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহানমানব হিসেবে অভিষিক্ত। বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল।

এ দলিলে জাতি-ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন, আমীন।

 খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’