পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ পূর্ণতা লাভ করেছে

মুন্সিগঞ্জ, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর): রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাত্রী এবং আমরা তার সহযাত্রী হয়ে ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পার হয়ে ভাঙা যাব। জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু পূর্ণতা লাভ করেছে।
আজ মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া রেলস্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা হতে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে ঢাকা হতে পদ্মা ব্রিজ পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। তাই ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রুটটি নতুন করে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আওতায় চলে এসেছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায়, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা গড়ার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং রূপকল্প ২০২১ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনায় রেল ব্যবস্থাকে প্রত্যেকটি জেলার সাথে সম্প্রসারিত করা ও দুই ধরনের রেল ব্যবস্থা অর্থাৎ মিটারগেজ এবং ব্রডগেজকে সমন্বয় করে একক ভাবে ব্রডগেজ রূপান্তর করা, সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল নাইনে রূপান্তর করা, এছাড়াও পূর্বাঞ্চলের রেল ব্যবস্থার সঙ্গে পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের রেলকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, যমুনা নদীর উপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এছাড়া ঢাকার সাথে অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কক্সবাজার পর্যটন নগরীর রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে রেল লাইন দু’টি উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, চীনের রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্যগণ সেনাবাহিনীর প্রধান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর ও মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসানসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ, মাঠ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, প্রকল্প নির্মাণ কাজে সহযোগী প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশলীগণ, দক্ষ শ্রমিক, জমি দাতাগণসহ উপস্থিত সুধিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।