নিজস্ব  রিপোর্টারঃপঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠিহাজরাডাঙ্গা গ্রামে মমতা রানী (৩৫), তার মেয়ে সেতু রানী (৬) ও ছেলে রাতুল চন্দ্র রায় (২) বিষ পান করিয়ে নিজে বিষপান করেছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় মমতা নারী ও রাতুল চন্দ্র রায়ের মৃত্যু হয়েছে। সেতু রানীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঠাঁকুরগাও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২০ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত মমতা রানীর স্বামীর নাম জয়দেব রায়। ঘটনার দিন সকালে ও রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে স্বামীর ওপর অভিমান করে আমের রসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সন্তানদের খাইয়ে নিজেও বিষপান করেন মমতা। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার পথে মমতা রানীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই সন্তানকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাতুল মারা যায়। শিশু সেতু রানীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চেংঠিহাজরাডাংগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র সরকার জানায়, পারিবারিক কলহের কারনে সন্তানদের নিয়ে মমতা রানী বিষপান করেছেন। এ ঘটনায় মা ও দেড় বছরের ছেলে রাতুলের মৃত্যু হয়েছে। অপর শিশুটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই সন্তানসহ মমতা রানী বিষপান করেন। এ ঘটনায় মা ও এক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপান করে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।