পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে একই বিদ্যালয়ের কামনা আক্তার কলি নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ঘটনার দিন মেয়েটি তার অভিভাবকসহ প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ হয়ে পরে মেয়েটি ও তার পরিবার।
এ কারণে মেয়েটি বাধ্য হয়ে গত রবিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
কামনা আক্তার কলি বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভোকেশনাল শাখার ফুড প্রসেসিং বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের মোঃ কায়েদে আজমের মেয়ে।
অভিযোগ বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট সকালে ওই ছাত্রী বোদা থানা সংলগ্ন সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর প্রাইভেট সেন্টারে পড়তে যায়। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার দিনই ছাত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুলের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানায়। একটি লিখিত অভিযোগ করে। এরপর সাত দিন পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে একটি মহল ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’ প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল বলেন, ‘আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। তাই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে। তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করে দেয়। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকরা ছাত্রীদের বাবার মত, অথচ আজ তারা বাবার কাছেও নিরাপদ না। আমরা অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে কিভাবে নিশ্চিতে থাকবো।