প্রধান মেনু

পঁচাত্তরের কালো অধ্যায় পরবর্তী অজানা বীরত্বগাঁথা ‘রক্তঋণ’ এর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ১৬ নভেম্বর

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৪ নভেম্বর) : পঁচাত্তরের কালো অধ্যায় পরবর্তী অজানা বীরত্বগাঁথা মানুষের সামনে তুলে ধরতে শাহীন রেজা রাসেল এর রচনায় এবং কাজী রাকীব এর নির্দেশনায়তীরন্দাজ নাট্যদলের ৫ম প্রযোজনা ‘রক্তঋণ’। আগামী ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬.৩০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘রক্তঋণ’এর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ। উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নৃশংস হত্যাকান্ড, হত্যাকান্ড পরবর্তী নানা ষড়যন্ত্র, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার নিয়ে ঘাতকদের ছড়ানো মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ প্রপাগান্ডা, সারাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদী নানা কর্মকান্ড, গারো পাহাড়ের পাদদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র আন্দোলন, প্রতিবাদকারীদের উপর তৎকালীন ঘাতক সরকারের নির্মম নির্যাতন, দমন-পীড়ন ইত্যাদি বিষয়কে নিয়ে নাটক ‘রক্তঋণ’।

এটা লক্ষ্যণীয় যে, বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতি মুহুর্তে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে বাংলাদেশের মানুষ নীরবে মেনে নিয়েছিল। কোন প্রতিবাদ হয়নি। কিন্তু এটা যে কত বড় ভুল, কতটা মিথ্যা তা এই গবেষণাধর্মী প্রযোজনায় তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পর কর্নেল জামিল প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথম শহিদ হন। এরপর সারাদেশে বিছিন্নভাবে নানা প্রতিবাদ চলেছে। গারো পাহাড়ের পাদদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে।

সারাদেশে ৫০০ শতাধিক মানুষ সেই প্রতিবাদে শহিদ হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কারাগারে নির্যাতিত হয়েছেন, শাস্তি ভোগ করেছেন। প্রতিবাদকারীদের ৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। অনেকে দেশান্তরী হয়েছেন। নির্বাসিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুই পৃথিবীর একমাত্র নেতা যার হত্যার প্রতিবাদে এরকম সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল।