প্রধান মেনু

নীলফামারী ও সৈয়দপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ১৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রোনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করার দায়ে নীলফামারী সদর থেকে ৬ জন এবং সৈয়দপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র্র থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। ১ জুন শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সৈয়দপুরে ১৩ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ১, পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ১, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ ও সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জনকে আটক করা হয়।

আটকব্যক্তিরা হলো দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আরিফা নাজনীন (২৬), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি এলাকার আরেফুজ্জামানের স্ত্রী লাভলী আক্তার (২৪), একই উপজেলার বালাপাড়া এলাকার প্রমোদ চন্দ্র রায়ের কন্যা পলি রায় (২৬), বাজে ডুমুরিয়া এলাকার ইয়াছিন আলীর পুত্র মিজান আহমেদ (২৮) আকাশকুড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদের কন্যা তাহিরা পারভীন (২৪),মুশা এলাকার সুমনের স্ত্রী উম্মে হাবিবা (২৪),ডিমলা উপজেলার নাউতারা এলাকার আবুজার রহমানের পুত্র আরাফাত সিদ্দিক (২৯) ও নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী এলাকার আতিয়ার রহমানের পুত্র সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন (২৯)। আটককৃতরা সৈয়দপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বজলুর রশীদ জানান, আটককৃতরা পরীক্ষা কেন্দ্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার সময় কর্তব্যরত কক্ষ পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এদিকে নীলফামারীতে থেকেও একই অভিযোগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৬ জন মহিলা পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদর্শক। এরা হলেন অপু রানী রায়, জেসমিন আকতার, সেলিনা আকতার, মাহিয়া হোসেন, নাজমা আকতার ও শরিফা খাতুন। আটককৃতদের পুলিশের হাতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা রাত ৮.৩০ মিনিটে মুঠোফোনে জানান, এখনও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।