নীলফামারীতে প্রাথমিক শিক্ষকের ৬০০ পদ শূন্য
শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীতে শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। জেলায় এক হাজার ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক মিলে ৬০৭টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে হিমশিত খেতে হচ্ছে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।
সম্প্রতি ৩২৯ জন সহকারি শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হওয়ায় শিক্ষক সংকট আরো বেড়েছে। এতে করে কিছুটা প্রধান শিক্ষক সংকট কমলেও বেড়েছে সহকারি শিক্ষক সংকট। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি মনিটরিং অফিসার হাসান তারিখের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৫২৯ জন সহকারি শিক্ষক ও ৭৮ জন প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩১ জন, সৈয়দপুরে তিন জন, ডোমারে ৩৮ জন, ডিমলায় ২১০ জন, জলঢাকায় ১৪৭ জন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ জন সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সদর উপজেলায় চারটি, কিশোরগঞ্জে ১১টি, ডিমলায় ৪০টি, সৈয়দপুরে চারটি ও জলঢাকায় ৩৭টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায়। ডিমলা উপজেলায় ২০১ জন সহকারি শিক্ষক ও প্রধান পদে ২২ জন ও জলঢাকায় সহকারি শিক্ষক পদে ১৪৭ জন ও প্রধান পদে ৩৭ জনের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় অনেকটা বিপাকে পড়েছে ওই দুই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়াও জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চার জন শিক্ষক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল পাঠদান। সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারি শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় এখন তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান।
জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের কাউন্সিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র রায় বলেন, প্রধান শিক্ষক সহ সাত পদের এই বিদ্যালয়টিতে বদলি ও পদোন্নতির কারণে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছে চারজন। তিন শত শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের মধ্যে কোনো একজন ছুটিতে থাকলে পাঠদান দিতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গণি জানান, জেলার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক শূন্য পদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শিক্ষক সংকট নিরসন হবে।