প্রধান মেনু

নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কুলগুলো সব কোচিং বানিজ্যে পরিণত হয়েছে

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের জেলা শহরের সরকারি,আধাঁ সরকারি ও বে-সরকারি প্রাথমিক,মাধ্যমিক বিদ্যালয়,স্কুল-কলেজসহ কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডার গার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলো বেশীরভাগ স্কুলেই শিক্ষাবাণিজ্য মহামারী আকার ধারণ করেছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কুলগুলো সব কোচিং সেন্টারে ও বানিজ্যে পরিণত হয়েছে।হাইকোটের আদেশ ও শিক্ষা মন্ত্রীর নিদের্শ উপেক্ষা করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্কুলে চলছে এখন রমরমা কোচিং বাণিজ্য।

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাসে বাড়তি টাকার লোভে শিক্ষকরা হাইকোটের আদেশ ও শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ঝিনাইদহের শিক্ষকগন বেপরোয়া ভাবে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ঝিনাইদহের সরকারি বালক বিদ্যালয়,বালিকা বিদ্যালয়,কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজ,ঝিনাইদহ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজসহ বে-সরকারি নামি-দামি স্কুলের শিক্ষকরা চালাচ্ছে বেপরোয়া কোচিং বানিজ্য। সকালে-বিকালে এবং সন্ধ্যায় অলি-গলিতে এবং রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রীদের অনুসরন করলে ধরা যাবে এসব শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য।

শহরের নিরি-বিলি এলাকাতে বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে ও শিক্ষদের নিজ গেটে বাড়িতে বাহির থেকে তালাবন্ধ রেখে অতি গোপনে চলছে বর্তমান কোচিং বানিজ্য। সরেজমিন বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখাযায় গণিতের শিক্ষক এমদাদুল হক চল্লিশ জনের অধিক ছাত্রছাত্রী সহ কোচিং বানিজ্য করছেন।শিক্ষক এমদাদুল হককে জিঙ্ঘাসা করতেই তিনি বলেন এবারের মত ক্ষমা করেদেন কাল থেকে আর কোচিং করাবো না।

স্কুলের সামনের গেট তালা মেরে নাইট গার্ড বজলুল রহমান বসে আছেন,তাকে জিগ্ধসঢ়;গাসা করতেই তিনি বলেন স্যার সকালে ও বিকালে দুইটি করে ব্যাচ কোচিং পড়ান। কেউ যাতে দেখতে না পারে তারজন্যই সামনের গেট কোচিংয়ের সময় তালা মারা থাকে। সেখান থেকে ফিরে আদর্শ পাড়ার কবি সুকান্ত সড়কের বিএনপি নেতা ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বাসি-বাকীর বাড়ির প্রথম তলার তিনটি রুমে গিয়ে দেখা যায় কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজ এর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ৬ষ্ট,৭তম,৮টম ও নবম শেনীর ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করাচ্ছে।ক্যামেরা হাতে সাংবাদিক দেখে দৌড়ে ঘরের দোতলায় পালান তিনি।

এভাবেই কাঞ্চন নগর স্কুলের দুই শিক্ষক কোচিং বানিজ্যের মাধ্যমে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাইকোটের আদেশ ও শিক্ষা মন্ত্রীর নিদের্শ উপেক্ষা করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন করে চালাচ্ছেন রমরমা কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষকরা কোমলমতি শিশুসহ সব শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে কোচিং করতে বাধ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। বাড়তি বই, কোচিং ও শিক্ষকেরধকল সামলাতে গিয়ে মানসিকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।সব স্কুল  আজ কোচিং বাণিজ্যের রূপ নিয়েছে।

বাড়তি টাকার লোভে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন একে জমজমাট ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। এটি শিক্ষকদের লোভে পরিণত হয়েছে। তাই ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিংয়ে পড়াচ্ছেন। কোচিং বন্ধে ঝিনাইদহের প্রশাসনের কোন সদিচ্ছা রয়েছে বলেও মনে হয় না।এখনই এর বিরুদ্ধে সবারই অবস্থান নেওয়া এবং কোচিং নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে জেলার স্বচেতন অবিভাবক মহল মনে করছেন।বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কমলমতি শিশুদের আগ্রহে নয়, বরং তাদের ওপর কোচিং জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে।কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিংয়ের বদলে এর নাম দেওয়া হয়েছে বিশেষ ক্লাস। এর জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ।

নীতিমালা অনুসারে সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না। তবে যেসব ব্যক্তি কোনও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত নন, শুধুমাত্র তারাই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিং করাতে পারবেন। শুধু নীতিমালায় বর্ণিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত কোচিং বাণিজ্য অবৈধ বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ফ্রিল্যান্সারদের কোচিং চালানোতে কোনো বাধা নেই বলে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের অভিভাবক মোঃ আমিনুল ইসলাম বিল্লু বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা কোচিং করতে বাধ্য করছেন।

শিক্ষার্থীদের দিনের ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টা কোচিং, প্রাইভেট টিউটর, নোট বই পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে পরীক্ষায় পাস মিললেও জীবনের পরীক্ষায় ফল ভালো হবে না। কোমলমতি শিশুদের বাঁচাতে হলে এখন সবার আগে দরকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা ও বাহ্যিক জ্ঞানার্জনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।ভাল ফল অর্জনের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার নামে বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। অনেকে কাংক্ষিত ফল না পেলে সন্তানকে বকাঝকা করেন। এতে শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের সকল সৃজনশীলতা ও উৎসাহ হারিয়ে শিশুদের শৈশব দারুণভাবে নষ্ট করছে।

সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষের জন্য তাদের হৃদয়ে ভালোবাসা জাগ্রত হচ্ছে না। ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজের এক অভিভাবক বলেন ,গৃহশিক্ষক ও কোচিং সেন্টারের বাড়তি চাপ নিতে গিয়ে শিশুরা মনস্তাত্ত্বিক সংকটে পড়ে। চাপে থাকা বাচ্চারা পাঠাভ্যাস হারিয়ে ফেলে। ভালো ফলের চাপে শিশুরা জ্ঞানতৃষ্ণা হারাচ্ছে। বাড়তি বই, বাড়তি কোচিং ও বাড়তি শিক্ষকের ধকল সামলাতে গিয়ে শিশুরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিশুদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ, রসবোধ, নান্দনিকতার আত্মতৃপ্তি ইত্যাদি বিষয় হারিয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে এক সময় শিশুদের মাঝে ব্যর্থতাবোধ, মানসিক বৈকল্য ইত্যাদি সমস্যা গ্রাস করছে। এতে জাতির স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে। ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক আসলাম উদ্দিন , আসমা সুলতানা,গোলাম রসুল বিশ্বাস ও ব্যবসায়ি শামীম আহম্মেদ মোল্লা বলেন, শুধুই পড়া আর পড়া! নেই কোনো বিনোদন-খেলাধুলা, আনন্দ-ফুর্তি। টিভি দেখারও সময় মেলে না। বাসায় একের পর এক শিক্ষক আসছেন, পড়াচ্ছেন। সঙ্গে স্কুলের ক্লাস ও কোচিং। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হোমওয়ার্ক শেষ করা আবার বাধ্যতামূলক।

দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমের সময় বাদ দিয়ে বাকি সময়ই পড়ালেখা। পড়ালেখার বাড়তি চাপে দিশেহারা এমন কয়েক জন শিশু প্রীতি,জান,ইভা,ফাহিম জানায়, তাদের সারাদিনই কাটে পড়াশোনার চাপে। সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে তাদের পড়তে বসতে হয়।ক্লাসের আগে ও ক্লাস শেষে স্কুলে ও বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ফের শুরু হয় কোচিং। বাসায় ফিরে খাবার খেয়ে শেষ করার পরপরই গৃহশিক্ষক আসেন পড়াতে,অনেককে আবার বাহিরে কোচিং করতে যেতে হয়। বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৫২ দিন শুক্রবার থাকে।

৮৫ দিন থাকে সরকারি ছুটি।শুক্রবার ও ছুটির দিন বাদে প্রতিদিনই তাদের এই রুটিন মাপিক চলতে হয়। শিক্ষার্থীদের কথা অনুসারে হিসাব কষে দেখা যায়,১০-১১ বছরের শিশুদেরকে দৈনিক গড়ে ১৩- ১৪ ঘণ্টা পড়াশোনার চাপে থাকতে হয়। ঝিনাইদহ সিটি কলেজ এর প্রভাষক কামাল আহম্মে বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন শ্রেনীতে পড়ার চাপ কতটুকু কোন বয়সে একটি শিশুর মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা কতটুকু,কোন শ্রেনীকেকয়টি বই পড়তে হবে সে বিষয় বিশ্লেষণ করে এনটিবি থেকে কী পড়ানো হবে তার পরিমাণ নির্দিষ্ট করা আছে।

এর বেশি একটি বইও কোনো বিদ্যালয় পড়াতে পারে না। পড়ালে তা আইনের লঙ্ঘন।কিন্তু আইন লঙ্ঘন করেই ঝিনাইদহের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইচ্ছামত পাঠ্যপুস্তক পাঠদান করছেন। শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে অধিক টাকা কামানোর ধান্দায় কোচিং বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন।গরিব ঘরের মেধাবী শিক্ষার্থীরা টাকার অভাবে ভাল রেজাল্ট থেকে বন্ধিসঢ়;চত হতে হচ্ছে। খোজ নিয়ে যানা গেছে,গত ২০১৬’র মার্চ ও ২০১৯ সালে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ঝিনাইদহের ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বে শহরের কয়েকটি কোচিংয়ে অভিজান পরিচালনা করে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কিছুদিন কোচিং বন্ধ রাখার পর তা আবার স্থান পরিবর্তন করে এক একদিন এক এক স্থানে কোচিং শুরু করেন। শিক্ষক সজল ও রওশন যায়গা পরিবর্তন করে আবারও কোচিং বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন। শহর জুড়ে শতাধিক কোচিং সেন্টারে কোচিং বানিজ্য চলছে।কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,কেউ পড়াবে কেউ পড়াবেনা তাহবেনা-তাহবেনা।একযোগে সব শিক্ষকের কোচিং বানিজ্য বন্ধ করলেই কেবল তা কার্যকর সম্ভব এবং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখলেই কোচিং বানিজ্য বন্ধ হওয়া সম্ভব।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহের অধিকাংশ প্রি-ক্যাডেট ও সরকারী-বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকরা নিজেরাই একেকটি কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন । কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িতরা সবাই কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। ঝিনাইদহের অর্ধশত প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলি সকল নীতিমালা লংঘন করে বাধ্যতামলক ভাবে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল এ্যাসোসিয়েশন,ঝিনাইদহ এর সভাপতি ও প্রগতি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,যে সব কিন্ডার গার্টেনস্কুলেররেজিষ্ট্রেশন আছে,সে সকল প্রতিষ্ঠান গুলি সরকারের সকল নীতিমালা মেনেই স্কুল পরিচালনা বা পাঠদান করে থাকে।

নিবন্ধন বিহীন ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।যে সব স্কুল সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ক্লাসে পাঠদান ব্যাতি রেখে শুধুমাত্র অর্থ আয়ের জন্য কোচিং বানিজ্য করছে,সে সকল স্কুলগুলি তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তর ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, আইন লঙ্ঘনকারি স্কুলগুলি ছিলগালা ও বন্ধ ঘোষনা করে কমলমতি শিশুদের সুষ্ঠ শিক্ষারমান ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর বলে তিনি মনে করেন।

ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন,আমি পরিপত্র জারি করেছি কোচিং বানিজ্য না করানোর জন্য।এরপরও আমার স্কুলের কোন শিক্ষক কোচিং বানিজ্য করলে তার দায়দায়িত্ব সেসকল শিক্ষকদের বহন করতে হবে।অধ্যক্ষ বলেন,এবারের মত আমার দুই শিক্ষককে ছাড়দেন।তিনি আরো বলেন,শুধু কাঞ্চন নগর স্কুল নয়,শহরের বালক বিদ্যালয়,বালিকা বিদ্যালয,কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজসহ ঝিনাইদহের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই কোচিং বানিজ্যের সাথে কম বেশি জড়িত।

ঝিনাইদহের শিক্ষাবান্ধব ও সততার প্রতিক হিসাবে পরিচিত জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঝিনাইদহের সচেতন মহলের দাবী, জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বাঁচাতে দ্রুত ঝিনাইদহের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধকরা অতি-জরুরী।এক শ্রেনীর অসাধু শিক্ষকদের কারণেই গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার মন তৈরি হওয়ার আগেই ধ্বংস হয়েযাচ্ছে। কোমলমতি গরিব শিশুদের ভবিষ্যত রক্ষার্থে এই সকল অসাধু শিক্ষকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন জেলার শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকরা।