প্রধান মেনু

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের লোভ সংবরণ দরকার -খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অতি লোভ সংবরণ করে যদি ব্যবসায়ীরা সঠিক দায়িত্বপালন করতে পারেন তাহলে জনগনের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাহারা দিয়ে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না সবারই নিজ নিজ বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। আজ রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘হোটেল-রেস্তোরা, বেকারি ও মিষ্টির কারখানার গ্রেডিং’ প্রদান অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেস্তোরার ভালো মান বজায় রাখার জন্য পদকপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ‘এ’ গ্রেড পেলেন সরকার আশা করছে এই স্বীকৃতিটুকু তাঁরা ধরে রাখবেন এবং জনগণের জন্য মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করে সামনের বছর তাঁরা ‘এ+’ গ্রেড পাবেন। তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এলক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যারা ব্যাবসা করেন তারা নিজেদের মানসিক তৃপ্তির জন্য হলেও ভোক্তার হাতে নিরাপদ খাদ্য তুলে দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ভোক্তাদের স্বার্থে ‘এ+’, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এই চার ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীর হোটেল ও রেস্তোরাকে।

গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরাগুলোতে চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে সবুজ বণের্র স্টিকার ‘এ+’, স্কোর ৮০ এর ঊর্ধ্বে হলে নীল বণের্র স্টিকার বা ‘এ’, ৫৫ থেকে ৭৯ পর্যন্ত স্কোর হলে হলুদ বণের্র ‘বি’ এবং ৪৫ থেকে ৫৫ স্কোর হলে কমলা বণের্র ‘সি’ ক্যাটাগরি পাবে। ‘এ+’ এর মানে হচ্ছে রেস্তোরাটি উত্তম, এ মানে ভালো, ‘বি’ মানে গড়পড়তা ভালো এবং ‘সি’ মানে গ্রেড দেওয়া হয়নি।

রেস্তোরায় সবুজ স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এখানকার মান এ+ (এ প্লাস) অর্থাৎ উত্তম। কমলা রংয়ের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এটি অনিরাপদ। এক মাসের মধ্যে কমলা স্টিকারযুক্ত রেস্তোরাগুলো মান ভালো না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে । যাঁরা খাবার খেতে যাবেন- তাঁরা রেস্তোরায় প্রবেশের সময় স্টিকার দেখেই জেনে নিতে পারবেন, এখানকার ভেতরের পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন। হলুদ স্টিকারধারী রেস্তোরাকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে তাদের মান ও গ্রেড উন্নতির জন্য। একইভাবে কমলা বণের্র রেস্তোরাকে গ্রেডিং বাড়ানোর জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা না হলে, হোটেল- রেস্তোরার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

গত বছর এই কার্যক্রমের পরীক্ষার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয় এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল। আজকের অনুষ্ঠানে মোট ১৩টি ‘এ’, ৯টি ‘বি’ এবং ৭টি সি গ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ, বেকারি ও মিষ্টির দোকানের মালিকগণ প্রমূখ।